একদিন অফিসে বসে নিয়মিত কাজ করছি এমন সময়ে দুজন ব্যাক্তি(আবেদনকারী ও তার স্বামী) এসে অনুমতি নিয়ে আমার কক্ষে প্রবেশ করলেন। রুমে প্রবেশ করে তাঁরা জানালেন যে, নাচোল বাজারে বন্ধুর কম্পিউটার এর দোকানে আমার স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধন এর আবেদন করি কিন্তু সে আমাকে ও আমার স্ত্রী কে জানায় আবেদন ফি বাবদ ৫০০ টাকা লাগবে এবং দ্রুত কাজ করে দিতে পারবো জেলা অফিস থেকে বলে আরো ১০০০ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হতে অনেক সময় লাগবে অথবা বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে ভয়ভিতী দেখায়। আবেদনকারী ও তার স্বামী কোনো উপায় খুজে না পেয়ে সরাসরি আমাকে বিষয়টি অবহিত করলে আমি আবেদনকারী ও তার স্বামীকে আশ্বস্ত করে বলি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে সরকারী ফি ছাড়া আর কোনো টাকা লাগে না।প্রয়োজনীয় কাগজ থাকলে তাৎক্ষনিক ভাবে সংশোধন করে দি।অতঃপর আমি তআবেদনকারীর আবেদন সংশোধন করে জাতীয় পরিচয়পত্র অফিস থেকে প্রিন্ট করে দি।আবেদনকারীর থেকে কম্পিউটার এর দোকানের ডিটেইলস নিয়ে তাকে অফিসে ডাকি এবং সতর্ক করে দিয়ে জানায় পরবর্তীতে এমন অভিযোগ আসলে আইনুনাগ ব্যাবস্থ গ্রহন করা হবে।অভিযুক্ত ব্যাক্তি ক্ষমা চেয়ে আর এমন কাজ করবে না মর্মে মৌখিক বক্তব্য দেন। তাৎক্ষনিক জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়ে এবং অভুযুক্ত ব্যাক্তির বিরদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ায় একজন সেবা গ্রহিতার আত্মতৃপ্তি দেখে সেদিন আমিও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি এবং সঠিক ভাবে সেবা প্রদানের বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। এখনো আমি প্রতিদিন অফিস শুরুতে সেই ঘটনা মনে করি যা আমাকে আমার কর্তব্য সঠিক ভাবে পালনে উৎসাহ জাগায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস