গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ এর আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন স্থাপিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে। একাধিক নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনের সভাপতি রুপে কাজ করবেন। সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কোন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ তাঁর কার্যভার গ্রহনের তারিখ হতে পাঁচ বছর।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ হতে ১২৬ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, নির্বাচন কমিশনের কর্মচারিগণ, প্রতি এলাকার জন্য একটি মাত্র ভোটার তালিকা, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির যোগ্যতা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়, নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা, নির্বাচনি আইন ও নির্বাচনি বৈধতা এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তা দান-বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে একটি স্বাধীন সচিবালয় রয়েছে। উক্ত সচিবালয়ের আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা প্রদানের জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন সকল রকমের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে যা পরিচালিত হয় একজন ডিরেক্টর জেনারেলের নিয়ন্তনে। অধিকন্ত, সচিবালয়কে সহায়তা দানের জন্য মাঠপর্যায়ে রয়েছে দশটি অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, ৬৪টি জেলায় রয়েছে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং সকল উপজেলা এবং থানায় রয়েছে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে বিভাগীয় ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়গুলোকে সহযোগীতা করাই হচ্ছে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মূল কাজ।এছাড়াও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল প্রকার সেবা এবং নতুন ভোটার করা সহ সকল ধরনের নির্বাচনে সকল প্রকার সেবা প্রদান করা আমাদের লক্ষ্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস